জীবন
রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করে জ্বলে চলেছে তারাগুলি। তবে কি সব সময়? না তো! মেঘ এসে জড়ায় আর মিটিয়ে দেই তাদের জ্বলজ্বলতা। একে তো দিনের বেলা তাদেরই বংশের রাজা তার রাজ সিংহাসনে বসে পৃথিবীর চোখের তারা যাতে তার দিক থেকে না সরে তার পরীক্ষা যেনো নিয়েই চলেছে। আর একটু অবকাশ পেয়ে যেই তারারা নিজেকে মেলে ধরতে চাইলে আবার সেই মেঘ।
এই সবই নিয়ে ভাবছিলাম আজ এই রাতের খোলা আকাশের নিচে বসে,চুল ছড়িয়ে বিদীর্ণ নরম শরীরের তাপ দিয়ে এই পরিবেশকে উত্তপ্ত করার ব্যর্থ চেষ্টার পর আবার হাত বাড়িয়ে তাদের ভালোবাসার ঋণে ঋণী হওয়ার জন্য। কেননা আজ শরীর আর মন ঝগড়া করে তাদের অন্যোন্যজীবিত্বকে তারা খুন করে দিয়েছে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই এক অজানার পথে আজ পা বাড়িয়ে ছিলাম কোনো কিছু না ভেবে।
বাবা-মায়ের শেষ সন্তান ডাক্তার হবে এই আশায় তাঁরা তাকে এক হোস্টেলে ভর্তি করলেন। সেই বেলায় যে বেলাতে তার শরীর যদি পেষায় মেশিনে ভরে দিয়ে তার অভিজ্ঞতার রস নিংড়ে বের করে দেখতে চাওয়া হয় তবে সেটাও যেনো আন্দোলনরত হাওয়াকে দেখতে চাওয়ার মত শুধুই কল্পনা। ছেলের বুদ্ধির ছুরি খুব ধারালো হওয়ায় কিছু জনের ভালোবাসার সঙ্গে জুটেছে আরো কিছু জনের অতিরিক্ত ভালোবাসা। আহা! এত ভালোবাসা কোথায় যে যায় তা বলা যায়?
তবে হ্যা,সব ভালোবাসায় তাকে উৎসাহ জাগিয়েছে। যে পেরেক গুলো এক শক্ত কাঠে পুততে গিয়ে তাদের হাতে বাঁকা হয়ে গিয়েছিল,আর সেগুলোই তুলে সোজা করে আবার সেই শক্ত,কঠোর কাঠে পুতে দিল তার দক্ষে ভরা হাত। যেনো ধুতুরা ফুলের মত নরম বুকে এক সরু সুঁচ ঢুকলো আর বেরোলো। ও! তাই এত সহজ নাকি? তবুও সেই সব উৎসাহ গুলো তার কোন কাজে লেগেছে ,জীবন ভাঙতে না গড়তে তা বলা কঠিন।
বাংলার নেতৃত্বে মাধ্যমিক পাশ করে আবার হোস্টেল জীবন শুরু করলো বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করবে বলে। কেননা তাকে ডাক্তার হতে হবে। তবে যারা তার এই জীবনের ছন্দকে টিকিয়ে রাখার জন্য এতদিন শক্তি সরবরাহ করে আসছিল তাদের মধ্যে একজন আর পারলনা। তাই 'তারা' শব্দটা যেনো 'সে' তে পরিণত হলো। যেনো এক ছুটন্ত কচ্ছপ তার একটি মাত্র পা হারালো!
মনে আক্ষেপের রেস ধরতেই পথ চলতি পথে কোথাও ধাক্কা পেয়ে সম্ভিত ফিরতেই আক্ষেপটাও চলে গেলো। শুরু হলো ধাক্কার যন্ত্রণা,তবে সেটা সহ্য ক্ষমতার মধ্যেই। আবার শুরু হলো পথ চলা।
উচ্চমাধ্যমিক পাশ করতেই সে তার সপ্নের সিড়ির শেষ সিড়িতে এসে পৌঁছাল? মেডিকেলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে এক কলেজে ভর্তি নিল। তার জীবনের পাতা যেনো ছলনার সঙ্গে দুলতে দুলতে তারই জীবনের কোনো এক ডালে আটকে পড়লো। আর আন্দোলনরত হওয়াও যেনো খনিক্ষণ চুপ থাকবে বলে অনুভূতিহীন প্রতিজ্ঞা করলো। যারা এই দিনের জন্য অপেক্ষায় ছিল তাদের একজন আজ বুক উঁচু করে কিছু বলা যায় কিনা তা ভাবতে লাগলো। কিন্তু এর মধ্যেই কিছু অতিরিক্ত ভালোবাসার মানুষ আরও বেড়ে গেলো। আহা! এবার যেনো রাস্তায় আর হাতুড়ি নয় রোলার নিয়ে নামতে হয়।
মেডিকেল জীবনের তৃতীয় বর্ষের শুরুর দিকে সেই কলেজ তার এক মহাপ্রানপুরুষকে হারালো। শোকে শোকাহত যেনো কোনো এক কোনের জলকল-এর মুখ থেকে চুইয়ে পড়া শেষ জলের ফোঁটাটাও। শোক কাটতেই রমরমিয়ে চলতে শুরু করল সেই প্রাণপুরুষ হারানো কলেজটা।
না! এই চলাটাও যেনো থেমে যেতে চেয়েছিল কারো কাছে। ছেলেটা খবর পেলো যে কে যেনো তার শেষ ঠেসমুলকেও ধারালো কিছু দিয়ে কেটে ফেললো। ব্যাস অমনি সব যেনো থমকে দাড়িয়ে গেলো তার চোখের সামনে। চোখ সরিয়ে অন্য কিছু দেখার চেষ্টা করলেও সেই থমকে থাকা দৃশ্য ছাড়া আর কিছুই নেই।
সে যেনো তারপর পুরনো কোনো এক কাপড়। হাতে পেতেই ছিড়ে চুর করে দিতে চাইলো যে কেউ। রইলনা কোনো আশা জীবনকে আর আগে বাড়াবার। তবুও..........
পথ চলা শুরু করতে চাইলেই যেমন সবসময় শুরু হয়না তেমনি পথ চলা থামাতে চাইলেও সবসময় থেমে যায়না। তার জীবনটাও যেনো এই ছন্দে চলতে চেয়েছিল। তাই সবকিছু ছেড়ে দিয়ে দুঃখ-কষ্টের আবহাওয়ার মধ্যে সে যেনো কিছু ভাবার জন্য শান্তির খোঁজ চাইছিল। আর এই সময় আমি তার জীবনের অর্ধজলন্ত মোমবাতিকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য তার এক হাত আমার বুকের মধ্যে ধরেছিলাম। তাকে কিছু উষ্ণতা দেওয়ার জন্য যাতে সে তার তাপনমুল্যে পৌঁছাতে পারে।
জীবন ধারণের আশা পেয়ে সে আবার জীবন গড়তে শুরু করলো নতুন ধাঁচে। সব ভুলতে চাইলেও পারলনা। তবুও.......
অনেক্ষন ধরে হয়তো কেউ সম্ভিত ফেরানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু এইবার সম্ভিত ফিরলো শরীরটার মধ্য দিয়ে হটাত করে ঠান্ডা হওয়া খেলে যাওয়ায়। কিছু বোঝে ওঠার আগেই আমার শরীর যেনো রক্তশূন্য হয়ে পড়তে লাগলো। কিছু মানুষের মত দেখতে জন্তুগুলোর জীবনের কিছু লাভ-লালসা মেটাতে যেনো আজ এই দিনটার জন্য সৃষ্টিকর্তা এত ভালোবেসে আমাকে বানিয়েছিলেন।
সেদিন শোক যাপনের উৎসব পালন করে সে তার কলেজের দিকে যাত্রা শুরু করলে সেই যাত্রায় তার জীবনের যাত্রাকে চিরতরে শেষ করে দিলো। খবরের কাগজে বেরোলো - দুর্ঘটনায় অবসান এক প্রাণের। যেনো কারো সস্থির নিঃশ্বাস।
সেইতো আমার সূর্য। তার আলোয় আলোকিত হয়ে জোৎস্না উপহার পেয়েছিল আমার মত চাঁদ। আর আজ যেনো অমাবস্যা। তাইতো তাহলে তো আকাশে তারারা জ্বলজ্বল করবে,কিন্তু কোথায়?
তাহলে আবারও কি মেঘের রাজ? তারারা কি তাদের জলজলন্ত আর দেখাবেনা? সূর্য কি আর কোনোদিন উঠবেনা?
এর উত্তর আর পাওয়া হলনা। তার সমাধির দিকে পা বাড়িয়ে ছিলাম,ভাবিনি এত রাতের কথা। আর তাই আমি এই শরীরটাও পরে রইলো কোনো এক সমাধির অপেক্ষায়। আর পড়ে রইলো জোছনার রাতের চাঁদ হয়ে বেচে থাকার আশা,যা শুধু পরে রইলো সেই পা ভাঙা খোলসের ভিতরে থাকা কচ্ছপের মত।
মেঘগুলোই আবার নিজেদের মধ্যে রাজত্ব অধিকার করার জন্য ধাক্কাধাক্কি শুরু করে সবাইকে জানান দেই তাদের ভয়াবহতা,বজ্রপাতের মাধ্যমে। কিন্তু কতক্ষন? একটু পরেই ফেটে গিয়ে ঝরে শেষ হয়ে যায়। নেমে আসে শান্তি,আর পড়ে থাকে তাদের ছোঁয়ায় গর্ভবতী হওয়া কিছু মাটির গন্ধ,আওয়াজ,আর সেই তারাদের আসল উজ্জ্বলতা!!
তবুও.... এটাই কি জীবন? না,মানে কোনো কিছুই কি জীবন-এ স্থায়ী নয়,নাকি কোনো কিছুর জীবন-ই স্থায়ী নয়?
....................................................................................
( English Translate )
Life
The stars are shining brightly in the night sky. But what all the time? No! Clouds come and envelop and melt their radiance. During the day, the king of their dynasty is sitting on his royal throne, so that the stars in the eyes of the earth do not move away from him. And the stars who want to match themselves after getting a little respite, that cloud again.
Thinking about all this, sitting under the open sky tonight, after a failed attempt to warm this environment with the heat of a torn soft body with hair spread out, to raise my hand again to be indebted to their love. Because today they have killed their other life by fighting body and mind. So somehow I was forced to step on an unknown path today without thinking of anything.
They admitted him to a hostel in the hope that the last child of the parents would be a doctor. At that time, if his body was filled with a machine and he wanted to see the juice of his experience, it was like imagining to see the moving air. The knife of the boy's intellect is very sharp, so the love of some people is combined with the love of some more people. Ah! Where does so much love go?
But yes, all love has inspired him. The nails that were bent in their hands when they went to put them in a hard wood, and picked them up straight and put them in the hard, hard wood again with their hands full of skill. It was as if a small needle had penetrated and exited the soft chest like a dhutura flower. Oh! Is that so easy? Still, it's hard to say whether those motivations worked for him or not.
After passing secondary school under the leadership of Bengal, he started hostel life again saying that he would pass higher secondary school with science department. Because he has to be a doctor. However, one of the people who has been providing strength to keep the rhythm of his life for so long is no longer able. So the word 'they' became 'she'. As if a running turtle lost only one of its legs!
As soon as I felt the race of remorse, I was pushed somewhere on the way and the remorse was gone. The onset of guilty feelings about having the affair, in the first place, further zaps whatever energy the partner having the affair might still have left. The path began to walk again.
Did he reach the last step of the stairs of his dreams just to pass high school? He passed the medical entrance examination and got admitted in a college. The leaves of his life seemed to be swaying with deception and stuck in one of the branches of his life. And he made an unfeeling promise that he would remain silent for a while. One of those who had been waiting for this day wondered if anything could be said today. But in the meanwhile some extra love people grew even more. Ah! This time it is as if you have to go down the road with a roller and not a hammer.
At the beginning of the third year of his medical life, the college lost one of its great heroes. The last drop of water dripping from the mouth of a water tap in one of the corners is like mourning in mourning. As soon as the mourning was over, the college that had lost its soul began to roar.
No! Someone seemed to want to stop this movement. The boy got the news that someone had cut off his last thesamul with something sharp. The diameter suddenly stopped in front of his eyes. Trying to look away and see something else, there is nothing but that paused scene.
It's like an old cloth. Anyone who wanted to tear it to pieces. There is no hope of extending life further. Still ..........
Just as it does not always start when you want to start walking, it does not always stop even if you want to stop walking. His life also seemed to want to continue in this rhythm. So he gave up everything and looked for peace in the midst of misery. And this time I held one of his hands in my chest to fill the half-burning candle of his life. To give him some warmth so that he can reach his temperature.
Hoping to hold on to life, he began to build life again in a new way. Even if I wanted to forget everything, I couldn't. Still .......
Maybe someone was trying to get Sambit back. But this time Sambhit came back through the body suddenly playing cold. Before I knew it, my body was bleeding. It is as if the Creator made me so loving to this day to satisfy some of the lusts of animal life that look like some human.
Celebrating the day of mourning, he started his journey towards college, ending that journey of his life forever. It came out in the newspaper - one life ended in an accident. Like someone's steady breath.
That is my sun. Jotsna was illuminated by its light and got the gift of moon like me. And like the new moon. So then the stars will be shining in the sky, but where?
So what is the rule of the clouds again? Will they no longer show their water? Will the sun never rise again? The answer is no longer available. I was stepping towards his grave, I didn't think about so many nights. And so I left this body behind, waiting for a grave. And there was the hope of surviving as the moon of the night of Jochna, which remained just like the tortoise inside the broken shell.
The clouds again began to push for the kingdom among themselves and let everyone know their horror, through lightning. But for how long? After a while it burst and ended in a storm. Peace descends, and the smell, the sound, and the real brilliance of those stars fall in their touch !!
Still ... is this life? No, does it mean that nothing is permanent in life, or that the life of something is not permanent?
...................................................................................
Good
ReplyDelete