এক মায়ের সপ্ন
পাখিদের কোলাহল শুরু হতেই ঘুমটা ভেঙে গেলো।কেনো জানিনা এই শীতের ঠান্ডা হাওয়ার খেলায় বুকের ভিতরটা হটাৎ করে যেন জমে যেতে শুরু করল।কিন্তু কেনো,কোনো আবেগ নাকি ভয়?
ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক নয়টা বাজে। আর আজ যেনো সূর্যটা বেজায় খুশিতে মাটির উপর নেমে পড়েছে।তার আলোয় আলোকিত হয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে সব প্রাণীর বেচে থাকার লড়াই।কিন্তু এই লড়াই কারো জীবন নিস্তব্ধ করে দিতে পারে কি?
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেলাম। বিছানায় শুয়ে দেখি পেটে লাথি পড়লো,কিন্তু কষ্ট হলেও মনে মনে একটু খুশিই হলো। এ জীবন কি,কেনোই বা তারা লাথি মারে- নিজেকে বাঁচাতে নাকি অপরকে ভয় দেখাতে এই সব ভাবতে ভাবতেই কখন ঘুমিয়ে পড়েছি খেয়ালই নেই।
কোনরকম দিনের শেষে সন্ধ্যা গড়াতেই ঘুম ভেঙে গিয়ে শুরু হলো কষ্টের সেই চরমতম পর্যায় যাতে কিনা লুকিয়ে আছে কারো বাঁচার আশা । আর সেই আশা যেনো কোনো ভাবেই শেষ না হয় তার জন্য কঠিন লড়াই,আর কারো কঠিন পরীক্ষা।যাইহোক তারা তো উত্তীর্ণ হয়েই গেলো ।জন্ম হলো আকাশভরা তারার মাঝে এক টুকরো চাঁদের,যে কিনা পূর্ণিমা তে আলো ছড়াবে বলে অপেক্ষায় রইলো।আর এই খুশিতে সবাই আত্ত্বহারা হয়ে উঠলো।কিন্তু যে কঠিন লড়াই করছিল তার কি হলো।
ডাক্তাররা পরীক্ষায় পাস করে পরীক্ষার খাতা সুতো দিয়ে বেধে দিল।ভাগ্য পরিহাস করতে করতে বলল খাতা বাধলেই তো শুধু হয়না,পুনরায় একবার খাতকে না দেখলে ভূল হওয়ার সন্দেহ থেকেই যাই।এখানেও তার ব্যাতিক্রম ঘটলনা ।
মধ্য রাতে দেখভালের দায়িত্বে থাকা নার্স দেখলেন সেই খাতা যেনো লাল রক্তে ভরে গেছে।দেরি না করে তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডেকে আপৎকালীন ব্যাবস্থা শুরু হয়ে গেলো।শরীরে রক্ত দেওয়া, ইনজেকশন দেওয়া,এবং শরীরের সবকিছু পরীক্ষা করে দেখা শুরু হলো।
অন্যদিকে সন্তানের ও সব পরীক্ষা করে দেখা শুরু হলো কিন্তু সন্তান ঠিক আছে।
সপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে,কিন্তু কিছু সপ্ন পূরণ না হলে মানুষ হয় নিজেকে না হয় অন্য কাউকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেয়।এই মা কত সপ্ন দেখে,আর এই স্বপ্নেই সপ্ন দেখে যে তার সন্তানকেও এই সপ্ন দেখতে বলবে যাতে করে সে যেনো কারো সপ্ন না ভাঙ্গে এবং নিজে বাঁচতে চাই।
ভাগ্য কিছু চাইলে তার পরিবর্তন নাই ।এই মায়ের রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ খুজতে গিয়ে ধরা পড়ে যে সুতো বাঁধতে ভূল হয়নাই,আর এতেই ভয় পাই ডাক্তাররা ।তবে কেনোই বা রক্ত গড়ালো অত।
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে ওই হাসপাতালের কতৃপক্ষ সেন্ট্রাল হাসপাতালে ওই মা কে ট্রান্সফার করে দিলেন ।কিন্তু যা হওয়ার ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে।
মায়ের মরণে ওই একটুকরো চাঁদটাও আর পূর্ণিমাতে আলো ছড়ানোর কোনো সপ্ন দেখেনা।যেনো একসাথে দুই সপ্নের গাছ ঝড়ে উল্টে গেলো।
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসতেই বোঝা গেলো মৃত্যুর আসল কারণ কিডনি ফেল।
পরিবার এত বড় আঘাত পেয়ে সেই একটুকরো চাঁদের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা করবে বলে সপ্ন দেখলো কিন্তু সেটাও যেনো শেষ হয়ে যেতে চেয়েছিল।মায়ের পর এবার হটাৎ সেই চাঁদ যে নিজের আলো আর ছড়াতে চাইনা বলেছিল মনে মনে,সেই স্বপ্নটাই যেনো পূর্ণতা পেলো।
কিন্তু মনে মনে প্রশ্ন একটাই সত্যি কি সপ্ন পূরণ হলো?
....................................................................................
English Translate
As soon as the noise of the birds started, the sleep was broken. I don't know why the inside of the chest suddenly started to freeze in this cold winter game. But why, any emotion or fear?
It was exactly nine o'clock. And today it is as if the sun has come down to the ground very happily. All the creatures are busy fighting for survival by being illuminated by its light. But can this fight silence anyone's life?
I was admitted to the hospital with the advice of a doctor. Lying in bed, I was kicked in the stomach, but I was a little happy in my mind despite the pain. What is this life, why or they kick - I have no idea when I fell asleep thinking about all this to save myself or to scare others.
Somehow, at the end of the day, in the evening, I woke up and started that extreme stage of suffering so that there is a hidden hope of survival. And the hope that it will not end in any way is a hard fight, and someone's hard test. Anyway, they have passed. But what happened to the one who was fighting hard.
The doctors passed the test and tied the test book with thread. Luckily, he jokingly said that it is not just a matter of tying the book, if I don't see the book again, I suspect that it will be a mistake.
In the middle of the night, the nurse in charge of the care saw that the book was filled with red blood. Immediately after the doctor was called, the emergency system was started.
On the other hand, the child and everything started to be examined, but the child is fine.
Dreams keep people alive, but when some dreams are not fulfilled, people either push themselves or someone else to the brink of death. I want to live by myself.
Fate has not changed if he wants something. While trying to find the reason for the bleeding of this mother, it was found that there was nothing wrong with tying the thread, and the doctors were afraid of this.
To get an answer to this question, the authorities of the hospital transferred the mother to the Central Hospital. But that has already happened.
At the death of her mother, she did not even dream of spreading the light on the full moon. It was as if the two dream trees were uprooted by a storm.
As soon as the postmortem report came, it was understood that the real cause of death was kidney failure.
The family looked at the face of the little moon after getting such a big injury and dreamed that they would do something but it also seemed to end.
But the only question in my mind is did the dream come true?