Monday, April 26, 2021

Life

                                জীবন


          রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করে জ্বলে চলেছে তারাগুলি। তবে কি সব সময়? না তো! মেঘ এসে জড়ায় আর মিটিয়ে দেই তাদের জ্বলজ্বলতা। একে তো দিনের বেলা তাদেরই বংশের রাজা তার রাজ সিংহাসনে বসে পৃথিবীর চোখের তারা যাতে তার দিক থেকে না সরে তার পরীক্ষা যেনো নিয়েই চলেছে। আর একটু অবকাশ পেয়ে যেই তারারা নিজেকে মেলে ধরতে চাইলে আবার সেই মেঘ।

       এই সবই নিয়ে ভাবছিলাম আজ এই রাতের খোলা আকাশের নিচে বসে,চুল ছড়িয়ে বিদীর্ণ নরম শরীরের তাপ দিয়ে এই পরিবেশকে উত্তপ্ত করার ব্যর্থ চেষ্টার পর আবার হাত বাড়িয়ে তাদের ভালোবাসার ঋণে ঋণী হওয়ার জন্য। কেননা আজ শরীর আর মন ঝগড়া করে তাদের অন্যোন্যজীবি‌‌ত্বকে তারা খুন করে দিয়েছে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই এক অজানার পথে আজ পা বাড়িয়ে ছিলাম কোনো কিছু না ভেবে।

       বাবা-মায়ের শেষ সন্তান ডাক্তার হবে এই আশায় তাঁরা তাকে এক হোস্টেলে ভর্তি করলেন। সেই বেলায় যে বেলাতে তার শরীর যদি পেষায় মেশিনে ভরে দিয়ে তার অভিজ্ঞতার রস নিংড়ে বের করে দেখতে চাওয়া হয় তবে সেটাও যেনো আন্দোলনরত হাওয়াকে দেখতে চাওয়ার মত শুধুই কল্পনা। ছেলের বুদ্ধির ছুরি খুব ধারালো হওয়ায় কিছু জনের ভালোবাসার সঙ্গে জুটেছে আরো কিছু জনের অতিরিক্ত ভালোবাসা। আহা! এত ভালোবাসা কোথায় যে যায় তা বলা যায়?


       তবে হ্যা,সব ভালোবাসায় তাকে উৎসাহ জাগিয়েছে। যে পেরেক গুলো এক শক্ত কাঠে পুততে গিয়ে তাদের হাতে বাঁকা হয়ে গিয়েছিল,আর সেগুলোই তুলে সোজা করে আবার সেই শক্ত,কঠোর কাঠে পুতে দিল তার দক্ষে ভরা হাত। যেনো ধুতুরা ফুলের মত নরম বুকে এক সরু সুঁচ ঢুকলো আর বেরোলো। ও! তাই এত সহজ নাকি? তবুও সেই সব উৎসাহ গুলো তার কোন কাজে লেগেছে ,জীবন ভাঙতে না গড়তে তা বলা কঠিন।

       বাংলার নেতৃত্বে মাধ্যমিক পাশ করে আবার হোস্টেল জীবন শুরু করলো বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করবে বলে। কেননা তাকে ডাক্তার হতে হবে। তবে যারা তার এই জীবনের ছন্দকে টিকিয়ে রাখার জন্য এতদিন শক্তি সরবরাহ করে আসছিল তাদের মধ্যে একজন আর পারলনা। তাই 'তারা' শব্দটা যেনো 'সে' তে পরিণত হলো। যেনো এক ছুটন্ত কচ্ছপ তার একটি মাত্র পা হারালো!

       মনে আক্ষেপের রেস ধরতেই পথ চলতি পথে কোথাও ধাক্কা পেয়ে সম্ভিত ফিরতেই আক্ষেপটাও চলে গেলো। শুরু হলো ধাক্কার যন্ত্রণা,তবে সেটা সহ্য ক্ষমতার মধ্যেই। আবার শুরু হলো পথ চলা।

      উচ্চমাধ্যমিক পাশ করতেই সে তার সপ্নের সিড়ির শেষ সিড়িতে এসে পৌঁছাল? মেডিকেলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে এক কলেজে ভর্তি নিল। তার জীবনের পাতা যেনো ছলনার সঙ্গে দুলতে দুলতে তারই জীবনের কোনো এক ডালে আটকে পড়লো। আর আন্দোলনরত হওয়াও যেনো খনিক্ষণ চুপ থাকবে বলে অনুভূতিহীন প্রতিজ্ঞা করলো। যারা এই দিনের জন্য অপেক্ষায় ছিল তাদের একজন আজ বুক উঁচু করে কিছু বলা যায় কিনা তা ভাবতে লাগলো। কিন্তু এর মধ্যেই কিছু অতিরিক্ত ভালোবাসার মানুষ আরও বেড়ে গেলো। আহা! এবার যেনো রাস্তায় আর হাতুড়ি নয় রোলার নিয়ে নামতে হয়।


      মেডিকেল জীবনের তৃতীয় বর্ষের শুরুর দিকে সেই কলেজ তার এক মহাপ্রানপুরুষকে হারালো। শোকে শোকাহত যেনো কোনো এক কোনের জলকল-এর মুখ থেকে চুইয়ে পড়া শেষ জলের ফোঁটাটাও। শোক কাটতেই রমরমিয়ে চলতে শুরু করল সেই প্রাণপুরুষ হারানো কলেজটা।

      না! এই চলাটাও যেনো থেমে যেতে চেয়েছিল কারো কাছে। ছেলেটা খবর পেলো যে কে যেনো তার শেষ ঠেসমুলকেও ধারালো কিছু দিয়ে কেটে ফেললো। ব্যাস অমনি সব যেনো থমকে দাড়িয়ে গেলো তার চোখের সামনে। চোখ সরিয়ে অন্য কিছু দেখার চেষ্টা করলেও সেই থমকে থাকা দৃশ্য ছাড়া আর কিছুই নেই।

       সে যেনো তারপর পুরনো কোনো এক কাপড়। হাতে পেতেই ছিড়ে চুর করে দিতে চাইলো যে কেউ। রইলনা কোনো আশা জীবনকে আর আগে বাড়াবার। তবুও..........

       পথ চলা শুরু করতে চাইলেই যেমন সবসময় শুরু হয়না তেমনি পথ চলা থামাতে চাইলেও সবসময় থেমে যায়না। তার জীবনটাও যেনো এই ছন্দে চলতে চেয়েছিল। তাই সবকিছু ছেড়ে দিয়ে দুঃখ-কষ্টের আবহাওয়ার মধ্যে সে যেনো কিছু ভাবার জন্য শান্তির খোঁজ চাইছিল। আর এই সময় আমি তার জীবনের অর্ধজলন্ত মোমবাতিকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য তার এক হাত আমার বুকের মধ্যে ধরেছিলাম। তাকে কিছু উষ্ণতা দেওয়ার জন্য যাতে সে তার তাপনমুল্যে পৌঁছাতে পারে।

       জীবন ধারণের আশা পেয়ে সে আবার জীবন গড়তে শুরু করলো নতুন ধাঁচে। সব ভুলতে চাইলেও পারলনা। তবুও.......

       অনেক্ষন ধরে হয়তো কেউ সম্ভিত ফেরানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু এইবার সম্ভিত ফিরলো শরীরটার মধ্য দিয়ে হটাত করে ঠান্ডা হওয়া খেলে যাওয়ায়। কিছু বোঝে ওঠার আগেই আমার শরীর যেনো রক্তশূন্য হয়ে পড়তে লাগলো। কিছু মানুষের মত দেখতে জন্তুগুলোর জীবনের কিছু লাভ-লালসা মেটাতে যেনো আজ  এই দিনটার জন্য সৃষ্টিকর্তা এত ভালোবেসে আমাকে বানিয়েছিলেন।

       সেদিন শোক যাপনের উৎসব পালন করে সে তার কলেজের দিকে যাত্রা শুরু করলে সেই যাত্রায় তার জীবনের যাত্রাকে চিরতরে শেষ করে দিলো। খবরের কাগজে বেরোলো - দুর্ঘটনায় অবসান এক প্রাণের। যেনো কারো সস্থির নিঃশ্বাস।

       সেইতো আমার সূর্য। তার আলোয় আলোকিত হয়ে জোৎস্না উপহার পেয়েছিল আমার মত চাঁদ। আর আজ যেনো অমাবস্যা। তাইতো তাহলে তো আকাশে তারারা জ্বলজ্বল করবে,কিন্তু কোথায়?

       তাহলে আবারও কি মেঘের রাজ? তারারা কি তাদের জলজলন্ত আর দেখাবেনা? সূর্য কি আর কোনোদিন উঠবেনা?

       এর উত্তর আর পাওয়া হলনা। তার সমাধির দিকে পা বাড়িয়ে ছিলাম,ভাবিনি এত রাতের কথা। আর তাই আমি এই শরীরটাও পরে রইলো কোনো এক সমাধির অপেক্ষায়। আর পড়ে রইলো জোছনার রাতের চাঁদ হয়ে বেচে থাকার আশা,যা শুধু পরে রইলো সেই পা ভাঙা খোলসের ভিতরে থাকা কচ্ছপের মত।

       মেঘগুলোই আবার নিজেদের মধ্যে রাজত্ব অধিকার করার জন্য ধাক্কাধাক্কি শুরু করে সবাইকে জানান দেই তাদের ভয়াবহতা,বজ্রপাতের মাধ্যমে। কিন্তু কতক্ষন? একটু পরেই ফেটে গিয়ে ঝরে শেষ হয়ে যায়। নেমে আসে শান্তি,আর পড়ে থাকে তাদের ছোঁয়ায় গর্ভবতী হওয়া কিছু মাটির গন্ধ,আওয়াজ,আর সেই তারাদের আসল উজ্জ্বলতা!!

       তবুও.... এটাই কি জীবন? না,মানে কোনো কিছুই কি জীবন-এ স্থায়ী নয়,নাকি কোনো কিছুর জীবন-ই স্থায়ী নয়?


....................................................................................

                    ( English Translate )

                                Life

The stars are shining brightly in the night sky. But what all the time? No! Clouds come and envelop and melt their radiance. During the day, the king of their dynasty is sitting on his royal throne, so that the stars in the eyes of the earth do not move away from him. And the stars who want to match themselves after getting a little respite, that cloud again.

              

                 Thinking about all this, sitting under the open sky tonight, after a failed attempt to warm this environment with the heat of a torn soft body with hair spread out, to raise my hand again to be indebted to their love. Because today they have killed their other life by fighting body and mind. So somehow I was forced to step on an unknown path today without thinking of anything.

                      They admitted him to a hostel in the hope that the last child of the parents would be a doctor. At that time, if his body was filled with a machine and he wanted to see the juice of his experience, it was like imagining to see the moving air. The knife of the boy's intellect is very sharp, so the love of some people is combined with the love of some more people. Ah! Where does so much love go?

                              But yes, all love has inspired him. The nails that were bent in their hands when they went to put them in a hard wood, and picked them up straight and put them in the hard, hard wood again with their hands full of skill. It was as if a small needle had penetrated and exited the soft chest like a dhutura flower. Oh! Is that so easy? Still, it's hard to say whether those motivations worked for him or not.

           After passing secondary school under the leadership of Bengal, he started hostel life again saying that he would pass higher secondary school with science department. Because he has to be a doctor. However, one of the people who has been providing strength to keep the rhythm of his life for so long is no longer able. So the word 'they' became 'she'. As if a running turtle lost only one of its legs!

              As soon as I felt the race of remorse, I was pushed somewhere on the way and the remorse was gone. The onset of guilty feelings about having the affair, in the first place, further zaps whatever energy the partner having the affair might still have left. The path began to walk again.

            Did he reach the last step of the stairs of his dreams just to pass high school? He passed the medical entrance examination and got admitted in a college. The leaves of his life seemed to be swaying with deception and stuck in one of the branches of his life. And he made an unfeeling promise that he would remain silent for a while. One of those who had been waiting for this day wondered if anything could be said today. But in the meanwhile some extra love people grew even more. Ah! This time it is as if you have to go down the road with a roller and not a hammer.

            At the beginning of the third year of his medical life, the college lost one of its great heroes. The last drop of water dripping from the mouth of a water tap in one of the corners is like mourning in mourning. As soon as the mourning was over, the college that had lost its soul began to roar.

           No! Someone seemed to want to stop this movement. The boy got the news that someone had cut off his last thesamul with something sharp. The diameter suddenly stopped in front of his eyes. Trying to look away and see something else, there is nothing but that paused scene.

          It's like an old cloth. Anyone who wanted to tear it to pieces. There is no hope of extending life further. Still ..........

                                                                                         Just as it does not always start when you want to start walking, it does not always stop even if you want to stop walking. His life also seemed to want to continue in this rhythm. So he gave up everything and looked for peace in the midst of misery. And this time I held one of his hands in my chest to fill the half-burning candle of his life. To give him some warmth so that he can reach his temperature.

                                                                                           Hoping to hold on to life, he began to build life again in a new way. Even if I wanted to forget everything, I couldn't. Still .......

                                                                                                   Maybe someone was trying to get Sambit back. But this time Sambhit came back through the body suddenly playing cold. Before I knew it, my body was bleeding. It is as if the Creator made me so loving to this day to satisfy some of the lusts of animal life that look like some human.

                                                                                                           Celebrating the day of mourning, he started his journey towards college, ending that journey of his life forever. It came out in the newspaper - one life ended in an accident. Like someone's steady breath.

                                                                                                                   That is my sun. Jotsna was illuminated by its light and got the gift of moon like me. And like the new moon. So then the stars will be shining in the sky, but where?

         So what is the rule of the clouds again? Will they no longer show their water? Will the sun never rise again?                                              The answer is no longer available. I was stepping towards his grave, I didn't think about so many nights. And so I left this body behind, waiting for a grave. And there was the hope of surviving as the moon of the night of Jochna, which remained just like the tortoise inside the broken shell.

           The clouds again began to push for the kingdom among themselves and let everyone know their horror, through lightning. But for how long? After a while it burst and ended in a storm. Peace descends, and the smell, the sound, and the real brilliance of those stars fall in their touch !!

                                                                                             Still ... is this life? No, does it mean that nothing is permanent in life, or that the life of something is not permanent?

...................................................................................

Monday, March 1, 2021

Generation

                           প্রজন্ম

           প্রথমেই বলি আপনি কোন প্রজন্মের। না মানে এই খাপছাড়া প্রশ্নের উত্তর এক্ষনি দিতে হবেনা। যে কোনো কিছু বলার আগে কমপক্ষে একবার ভাবা উচিৎ- তাই তো? তবে এর উত্তর যদি আমাকেই বলতে হয় তবে আমার বাকযন্ত্র যেনো বলে উঠে আমার কোনো প্রজন্মই নেই। তাহলে আমি কি প্রজন্মের বাইরে?

            অনেকদিন শীত করার পর এখন শীতের আমেজটা বেশ কমেছে। তাই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা বোধ টা আর হয়না। শীতের দিনের শিশির ভেজা ঘাসের ছোঁয়া আর সুন্দর সকালের পরিবেশ এই শরীর-মন বার বার চেয়েছে। তবে বলাই বাহুল্য বড় কষ্টের ঘুম যেনো তাকে একহাতে আটকে দেয়।

           ঘড়িতে অ্যালার্ম বেজে উঠতেই ঘুম ভেঙে গিয়ে দেখি বিছানায় পড়ে আছি। ভাবতে অবাক লাগে,এই কদিন ধরে কেনো জানিনা পুরনো পৃথিবী আমার সঙ্গে রোজ দেখা করেই চলেছে। আর দেখাচ্ছে কি - সেই পরিবেশ যেখানে কিনা শুধুই ভালোবাসা,সেই গ্রাম যার পুকুর,গাছ সব যেন সেই ভালোবাসার পারদকে রক্তচাপের থেকেও বেশি করে তুলছে। সেই রাস্তা যার উপর রয়েছে কত গরু,ঘোড়ার পদচিহ্ন,কত ভবিষ্যৎ অন্বেষণকারীর পা,কত পশু-পাখি .... আরও কতই না কিছু।

              প্রাতঃরাশ সেরে দিয়ে বাড়ির পূর্বদিকের ব্যালকনিতে গিয়ে একটু দাড়ালাম। চোখে পড়লো আমার মত অফিস কর্মচারীর এই ছুটির দিনেও কত মানুষ তার শরীর নিংড়ে রস বার করেই চলেছে একটু ঠাণ্ডা হবে বলে। আর সূয্যিমামা!!আজ যেনো রেগে গিয়ে সবকিছু পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে চাইলেও কত ভবিষ্যৎ টিকিয়ে রাখার নিপুণ কর্মচারীরা তাদের কাজ করেই চলেছে।

           সাইকেল করে নিয়াস রাজা প্রতিদিনের মতই আজকেও সংবাদপত্রটা বাড়িতে দিয়ে গেলো। এই আধুনিকতার যুগেও একটু কফি খেতে খেতে খবর পড়ার আলাদাই মজা। কিন্তু কি সবাই এই মজাটা বোঝে?

 এই ইন্টারনেটের যুগে খবরের কাগজ কে নেয়!- এই কথা কেউ না কেও তো বলেই ফেলে।

          যাইহোক চর্চাটা ছিল আমার প্রজন্ম নিয়ে। কেননা সকাল সকাল পুরনো পৃথিবী আমাকে যা দেখিয়েছে তা নিয়ে তো ভাবতেই হয়। তবে প্রশ্ন হলো যে,সে শুধু দেখালো- ভালোবাসা,সেই সুন্দর নরম পরিবেশ,সেই সুন্দর কাচা মাটির রাস্তা আর কাঠের চাকা।

          আর কাচা রাস্তায় কাঠের চাকা আটকে যাওয়া অর্থাৎ যাত্রাপথে অসুবিধা হওয়া,এক কলেরার জন্য গ্রামকে - গ্রাম উজাড় হয়ে যাওয়া - কই এগুলো তো দেখাল না।

          আর এইসব কিছুকে জয় করে আজ এই পৃথিবীতে দাড়িয়ে আছে যারা,শুধু কি এই - কলকারখানা তৈরি,বন - অরণ্য ধ্বংস,নিজেদের বিলাসিতায় কত জীবের বাসস্থান ধ্বংস,অজনার খোঁজে কত পাহাড় ধ্বংস - এইগুলিও তো তারাই করলো যারা আজ এই পৃথিবীতে দাড়িয়ে।

          তবে এই প্রজন্ম দোষ করেছে নাকি ভালো করেছে? এর উত্তর দেওয়া কষ্টকর। কেননা নতুন নতুন সাংবিধানিক আইন আসছে আর নতুন করে যেনো গাছেরা,পশু - পাখিরা আর পুরনো পৃথিবীর কয়েকফোটা নমুনা আজ আবার নিজের জীবন ফিরে পেতে চলেছে বলে পতাকার মত আকাশে ফুর ফুরে মেজাজে উড়তে শুরু করেছে।

          তাহলে বলেন পারলেন দোষ দিতে,পারবেন না তো।

          কেননা এই প্রজন্মে যা কিছু বর্তমান পরবর্তীতে টা হয়তো বিলুপ্ত,এই পৃথিবীর প্রতি জীব তার চাহিদার জন্য অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চাই।আর এখানে তো কোনো ভূল নেই। আর যে নিজেকে টিকিয়ে রাখার যোগ্যতা অর্জন করবে সেইতো টিকে থাকবে।

          তবে কি আগের প্রজন্ম টিকতে চাইনি? কি জানি - হয়তো বা!!

          তবে আমার কি হলো,আমার বাকযন্ত্র তো বলেছিল আমার নাকি কোনো প্রজন্মই নেই - তাহলে?

          আমি কি চাইনা সেই পুরোনো পৃথিবীর কঠিন জীবন যেখানে শিক্ষা নেই,নেই কোনো জীবন সুরক্ষা,আর এখনকার অবলুপ্ত - বিলুপ্তে ভরা জীবন, কর্মমুখর ব্যাস্ততার ছোঁয়া। নাকি আমি চাই সেই কোমল নম্র পরিবেশ, অকৃত্রিমতা আর এখনকার বিজ্ঞানময় সহজলভ্য জীবন।

          এই সব ভাবতে ভাবতেই আমার আত্মা যেনো সেই পুরোনো পৃথিবীর কোথায় চলে গেলেও আমার পা দুটো এই পৃথিবীর পরম ছোঁয়ায় যেনো আটকে গেলো।


....................................................................................

                  English Translate 

                           Generation 

             First of all let me tell you what generation you belong to. No, that doesn't mean you have to answer this question right now. You have to think at least once before you say anything - right? But if I have to say the answer, then I have no generation to say my words. So am I out of generation?

             After a long winter, the amazement of winter has decreased a lot. So it is no longer difficult to wake up in the morning. The touch of dew-drenched grass on a winter's day and the beautiful morning environment have made this body-mind want again and again. Needless to say, the sleep of great difficulty seemed to hold him in one hand.

            As soon as the alarm went off, I woke up and saw that I was in bed. I wonder why the old world has been meeting me every day for a few days now. And what does it look like - the environment where there is only love, the village whose ponds, trees are all making the mercury of that love more than blood pressure. The road on which there are so many cows, horse footprints, so many futures explorers, so many animals and birds ... so much more.

            After breakfast I went to the east balcony of the house and stood for a while. I noticed how many people are still squeezing the juice out of the body of an office worker like me on this holiday saying that it will be a little cold. And Suyyimama !! Today, it is as if they are angry and want to burn and destroy everything, but how many skilled workers are working to save the future.

            Nias Raja took the newspaper home by bicycle as he did every day. Even in this modern age, reading a little coffee and reading the news is a lot of fun. But does everyone understand this joke?

  In this age of internet, who takes the news paper! - Someone says this.

           However, the practice was about my generation. Because in the morning I have to think about what the old world has shown me. But the question is, he just showed - love, that beautiful soft environment, that beautiful dirt road and wooden wheels.

           And the wooden wheels stuck on the dirt road, that is, the difficulty in the journey, the village for a cholera - deserted village - where it did not show.

           And those who have conquered all these things and are standing in this world today, just building factories, destroying forests, destroying the habitats of many creatures in their own luxury, destroying so many mountains in search of strangers - all these are done by those who are standing in this world today.

           But has this generation done wrong or has it done better? It is difficult to answer. Because new constitutional laws are coming and new plants, animals and birds and a few samples of the old world are going to get back to life today, so they are flying in the sky like flags.

           If you can blame, you can not.

           Because whatever is present in this generation may be extinct in the next, every creature on this earth wants to influence others for its needs. And there is nothing wrong here. And the one who is qualified to sustain himself will survive.

           But did the previous generation not want to survive? I don't know - maybe or !!

           But what happened to me, my vocabulary said I have no generation - then?

           What I don't want is the hard life of the old world where there is no education, no life protection, and the present extinct-extinct life, the touch of busyness. Or I want that gentle humble environment, authenticity and today's scientifically readily available life.

           Thinking about all this, my soul felt as if it had gone somewhere in the old world, but my legs seemed to be stuck in the absolute touch of this world.


Friday, February 26, 2021

A Mother's Dream

                  এক মায়ের সপ্ন

পাখিদের কোলাহল শুরু হতেই ঘুমটা ভেঙে গেলো।কেনো জানিনা এই শীতের ঠান্ডা হাওয়ার খেলায় বুকের ভিতরটা হটাৎ করে যেন জমে যেতে শুরু করল।কিন্তু কেনো,কোনো আবেগ নাকি ভয়?

              ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক নয়টা বাজে। আর আজ যেনো সূর্যটা বেজায় খুশিতে মাটির উপর নেমে পড়েছে।তার আলোয় আলোকিত হয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে সব প্রাণীর বেচে থাকার লড়াই।কিন্তু এই লড়াই কারো জীবন নিস্তব্ধ করে দিতে পারে কি?

              ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেলাম। বিছানায় শুয়ে দেখি পেটে লাথি পড়লো,কিন্তু কষ্ট হলেও মনে মনে একটু খুশিই হলো। এ জীবন কি,কেনোই বা তারা লাথি মারে- নিজেকে বাঁচাতে নাকি অপরকে ভয় দেখাতে এই সব ভাবতে ভাবতেই কখন ঘুমিয়ে পড়েছি খেয়ালই নেই।

              কোনরকম দিনের শেষে সন্ধ্যা গড়াতেই ঘুম ভেঙে গিয়ে শুরু হলো কষ্টের সেই চরমতম পর্যায় যাতে কিনা লুকিয়ে আছে কারো বাঁচার আশা । আর সেই আশা যেনো কোনো ভাবেই শেষ না হয় তার জন্য কঠিন লড়াই,আর কারো কঠিন পরীক্ষা।যাইহোক তারা তো উত্তীর্ণ হয়েই গেলো ।জন্ম হলো আকাশভরা তারার মাঝে এক টুকরো চাঁদের,যে কিনা পূর্ণিমা তে আলো ছড়াবে বলে অপেক্ষায় রইলো।আর এই খুশিতে সবাই আত্ত্বহারা হয়ে উঠলো।কিন্তু যে কঠিন লড়াই করছিল তার কি হলো।


              ডাক্তাররা পরীক্ষায় পাস করে পরীক্ষার খাতা সুতো দিয়ে বেধে দিল।ভাগ্য পরিহাস করতে করতে বলল খাতা বাধলেই তো শুধু হয়না,পুনরায় একবার খাতকে না দেখলে ভূল হওয়ার সন্দেহ থেকেই যাই।এখানেও তার ব্যাতিক্রম ঘটলনা ।

              মধ্য রাতে দেখভালের দায়িত্বে থাকা নার্স দেখলেন সেই খাতা যেনো লাল রক্তে ভরে গেছে।দেরি না করে তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডেকে আপৎকালীন ব্যাবস্থা শুরু হয়ে গেলো।শরীরে রক্ত দেওয়া, ইনজেকশন দেওয়া,এবং শরীরের সবকিছু পরীক্ষা করে দেখা শুরু হলো।

              অন্যদিকে সন্তানের ও সব পরীক্ষা করে দেখা শুরু হলো কিন্তু সন্তান ঠিক আছে।

              সপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে,কিন্তু কিছু সপ্ন পূরণ না হলে মানুষ হয় নিজেকে না হয় অন্য কাউকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেয়।এই মা কত সপ্ন দেখে,আর এই স্বপ্নেই সপ্ন দেখে যে তার সন্তানকেও এই সপ্ন দেখতে বলবে যাতে করে সে যেনো কারো সপ্ন না ভাঙ্গে এবং নিজে বাঁচতে চাই।

              ভাগ্য কিছু চাইলে তার পরিবর্তন নাই ।এই মায়ের রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ খুজতে গিয়ে ধরা পড়ে যে সুতো বাঁধতে ভূল হয়নাই,আর এতেই ভয় পাই ডাক্তাররা ।তবে কেনোই বা রক্ত গড়ালো অত।

             এই প্রশ্নের উত্তর পেতে ওই হাসপাতালের কতৃপক্ষ সেন্ট্রাল হাসপাতালে ওই মা কে ট্রান্সফার করে দিলেন ।কিন্তু যা হওয়ার ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে।

              মায়ের মরণে ওই একটুকরো চাঁদটাও আর পূর্ণিমাতে আলো ছড়ানোর কোনো সপ্ন দেখেনা।যেনো একসাথে দুই সপ্নের গাছ ঝড়ে উল্টে গেলো।

              পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসতেই বোঝা গেলো মৃত্যুর আসল কারণ কিডনি ফেল।

              পরিবার এত বড় আঘাত পেয়ে সেই একটুকরো চাঁদের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা করবে বলে সপ্ন দেখলো কিন্তু সেটাও যেনো শেষ হয়ে যেতে চেয়েছিল।মায়ের পর এবার হটাৎ সেই চাঁদ যে নিজের আলো আর ছড়াতে চাইনা বলেছিল মনে মনে,সেই স্বপ্নটাই যেনো পূর্ণতা পেলো।

              কিন্তু মনে মনে প্রশ্ন একটাই সত্যি কি সপ্ন পূরণ হলো?

....................................................................................

               English Translate 


                      A Mother's Dream

As soon as the noise of the birds started, the sleep was broken. I don't know why the inside of the chest suddenly started to freeze in this cold winter game. But why, any emotion or fear?

               It was exactly nine o'clock. And today it is as if the sun has come down to the ground very happily. All the creatures are busy fighting for survival by being illuminated by its light. But can this fight silence anyone's life?

               I was admitted to the hospital with the advice of a doctor. Lying in bed, I was kicked in the stomach, but I was a little happy in my mind despite the pain. What is this life, why or they kick - I have no idea when I fell asleep thinking about all this to save myself or to scare others.

               Somehow, at the end of the day, in the evening, I woke up and started that extreme stage of suffering so that there is a hidden hope of survival. And the hope that it will not end in any way is a hard fight, and someone's hard test. Anyway, they have passed. But what happened to the one who was fighting hard.

               The doctors passed the test and tied the test book with thread. Luckily, he jokingly said that it is not just a matter of tying the book, if I don't see the book again, I suspect that it will be a mistake.

               In the middle of the night, the nurse in charge of the care saw that the book was filled with red blood. Immediately after the doctor was called, the emergency system was started.

               On the other hand, the child and everything started to be examined, but the child is fine.

               Dreams keep people alive, but when some dreams are not fulfilled, people either push themselves or someone else to the brink of death. I want to live by myself.

               Fate has not changed if he wants something. While trying to find the reason for the bleeding of this mother, it was found that there was nothing wrong with tying the thread, and the doctors were afraid of this.

               To get an answer to this question, the authorities of the hospital transferred the mother to the Central Hospital. But that has already happened.

               At the death of her mother, she did not even dream of spreading the light on the full moon. It was as if the two dream trees were uprooted by a storm.

               As soon as the postmortem report came, it was understood that the real cause of death was kidney failure.

               The family looked at the face of the little moon after getting such a big injury and dreamed that they would do something but it also seemed to end.

               But the only question in my mind is did the dream come true?







Life

                                জীবন           রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করে জ্বলে চলেছে তারাগুলি। তবে কি সব সময়? না তো! মেঘ এসে জড়ায় আর মিটিয...